সবই সোনালি দিনের বাংলা চলচ্চিত্র থেকেও নেওয়া। নাটকের নাম ‘হারানো দিনের গান’। এটি রচনা করেছেন আশরাফুল চনচল আর নির্মাণ করেছেন ইউসুফ চৌধুরী।
তবে পরিচালক ইউসুফ জানালেন, নতুন প্রজন্মের কাছে গানের সোনালি অতীত তুলে ধরতেই এই আয়োজন। এতে পুরো নয়, জনপ্রিয় গানের অংশবিশেষ ব্যবহার করা হয়েছে।
নির্মাতা বলেন, ‘‘নতুন প্রজন্মের অনেকেই আমাদের চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের গানগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। অথচ সে সময়ে পাড়ায়, বাসায়, বাজারে- সর্বত্র সব বয়সের শ্রোতাদের নির্মল আনন্দ দিয়েছে গানগুলো। কথা, সুর, কম্পোজিশনে সে সব গান ছিলো শিল্পোত্তীর্ণ। ‘হারানো দিনের গান’ নাটকের উদ্দেশ্য হলো- কাহিনির ছলে সেসব গানগুলোর একটা সূচিপত্র দর্শক-শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করা।’’
এর গল্পটা এমন- নূর ইসলাম মানিক, সংগীতপ্রেমী এই লোকটির ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে গুণী সংগীতশিল্পী হওয়ার। বস্তাপচা গানের ধারাটাকে বদলে ফেলবেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ তাকেই বদলে দিয়েছে। অল্প বেতনে ঢাকার ছোট্ট একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তবে এত কিছুর পরেও গানকে ফেলতে পারেননি তিনি।
খালি গলায় সারাক্ষণ গান চালিয়ে যান। যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে একটা গান মানিকের ঠোঁটের অগ্রভাগে রেডি হয়েই থাকে। বাবার কথা মনে আসতেই কণ্ঠে তোলেন ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন, শুনেছিলাম গান’।
মানিকের প্রাণের মানুষ লাভলি। কপালগুণে এরকম সুন্দরী একটা মেয়েকে বউ হিসেবে পেয়েছেন। দুপুরে ভাত খাওয়ার পর সিগারেট জ্বালিয়ে বিছানায় শুয়ে পা দোলাতে দোলাতে গুনগুন করে গেয়ে ওঠেন ‘তুমি আমায় করতে সুখী জীবনে… অনেক বেদনাই সয়েছো’।
এভাবে গল্পের তালে তালে এক নাটকে তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রের কালজয়ী ৩৯টি গান।নির্মাতা আরও জানান, ‘হারানো দিনের গান’ নাটকটি প্রচার হবে বাংলাভিশনের ঈদ আয়োজনে। পাশাপাশি এটি প্রচার হবে সরকার মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল। লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট-এর ব্যানারে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন মোহন আহমেদ।নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব, কেয়া পায়েল, শাহেদ আলী সুজন, হানিফ পালোয়ানসহ অনেকে।